স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ভগ্নিপতির সাথে শ্যালকের টাকা লেনদেনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আপন ভাগিনা-ভাগনীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন বাদল মিয়া (৪০) নামে এক পাষণ্ড মামা।
গতকাল বুধবার (২৬ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে নিহত কামরুল ও শিফার মামা বাদল মিয়াকে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ আটকের পর বাদল এ স্বীকারোক্তি দেন।
পুলিশ জানায়, বাদল মিয়া করোনার আগে বাহারাইন থেকে দেশে আসেন। বাহারাইন থাকাকালে বাদল মিয়া তার সৌদি প্রবাসী ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে দোকান ঘর তৈরি করতে ১৩ লাখ টাকা হাওলাত নেন। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেন বাদল। বাকী ১০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে শ্যালক বাদল ও ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। গত এক সপ্তাহ আগে এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাদলকে থাপ্পড় মারেন কামাল উদ্দিন। এ থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতেই ভাগিনা-ভাগনীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বাদল।
বাদল ভগ্নিপতির থাপ্পড়ের প্রতিশোধের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার বিকেলে তার কক্ষে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে ভাগ্নে কামরুল ইসলামকে হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে খাটের নিচে রেখে দেয়। পরে বাড়ির লোকজন কামরুলকে না পেয়ে খুঁজতে গেলে বাড়ি ফাঁকা হয়ে যায়। পরে কামরুলের বোন শিফা রুম ঝাড়ু দিতে গিয়ে লাশ দেখে ফেলায় শিফাকেও ছুরি দিয়ে গলা কেটে খাটের নিচে রেখে দিয়ে পালিয়ে যায়।
খুঁনি বাদল মিয়া কুমিল্লার হোমনা উপজেলার খুদাদাউদপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে। সে বাহারাইন থেকে লকডাউনের আগে দেশে আসেন। সে হোমনার একটি মামলার আসামি হয়ে গত ১৫ দিন আগে বাঞ্ছারামপুরের সলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে বোনের বাড়িতে আসেন। এদিকে ভাগিনা-ভাগনী হত্যাকান্ডের পর থেকেই বাদল পলাতক ছিলেন।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সালাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এটি একটি জঘন্যতম হত্যাকান্ড। ভগ্নিপতির সাথে টাকা লেনদেনের ঘটনায় মনোমালিন্যের পর ভগ্নপতির থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতেই বাদল এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটান। তিনি বলেন, নিহতদের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply